পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : - পাইকগাছায় জমি পরিমাপ না করে প্রতিবন্ধীর জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী দোষরদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে।
জিডি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কপিলমুনি গ্রামের মৃত সাধন চন্দ্র দে'র ছেলে অজয় কুমার দে'র কপিলমুনি মৌজায় এস এ ১৬২,বিআরএস ৯০ ও ৯২ দাগে খরিদ, দানপত্র এবং ওয়ারেশ সূত্রে ০.২৯.৭৫ একর জমির মালিক। উক্ত সম্পত্তি থেকে ০.১৩ একর জমি বিক্রি করে তাদের দখল বুঝে দিয়ে বক্রি জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে আছেন।
প্রতিবন্ধী অজয় দে জানান, সম্প্রতি আামাদের জমিতে মাটি ও বালু ভরাট করে উচু করায় জমির মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পার্শবর্তী এস এ ১৭৮, ডিপি ৯১ দাগের মালিক একই এলাকার মৃত অজিত অধিকারীর ছেলে উত্তম অধিকারী ও বাসুদাম অধিকারী গংদের আমার জমির উপর কুনজর পড়ে। তারা জমির সীমানা মাপজোপ না করে আামার বেশ অনেকটা জমির উপর দিয়ে পাকা প্রাচির নির্মনের উদ্যোগ নেয়। সিমানা পরিমাপ করে প্রাচির নির্মাণ করার কথা বল্লে উত্তম গং সেটা মানছেন না। উপরুন্তু বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে খুন জখমসহ শ্মশানে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে আমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বন্ধে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েছি এবং পাইকগাছা থানায় উত্তম গংদের বিরুদ্ধে জিডি করেছি। যার নাং ৩৩১।
তিনি আরো বলেন, গত ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর উত্তম গং খুলনা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী আত্মীয় পরিচয়ে ক্ষমতার দাপটে আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাড়িঘর ভাংচুর ও আমাদের বেদম মারপিট করে। সরকারের পট পরিবর্তন হলেও এক অদৃশ্য কারনে আবারো ক্ষমতার বলে আমার জমি দখল করে প্রাচির নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
উত্তম অধিকারী জানান, পুকুর ভরাট হওয়ার কারনে আমার বাড়ির একপাশে অরক্ষিত থাকায় প্রাচির নির্মাণের উদ্দোগ নেই। এসময় অজয় দে ফাঁড়িতে অভিযোগ দিলে সেটা বন্ধ রাখছি। সময় সযোগ বুঝে প্রাচির দিয়ে নিব।
0 Comments