শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন।

বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে লেখাপড়া বন্ধ হলো চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর



# পিতার সামর্থ্য না থাকায় উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত কুল্যার ছামিয়া


রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল:-

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে লেখাপড়া বন্ধ হল চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর। পিতা হতদরিদ্র ভ্যান চালক হওয়ায় মেয়ের উন্নত চিকিৎসার সামর্থ্য না থাকায় অকালেই যেন মৃত্যু হাতছানি দিচ্ছে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু ছামিয়ার। সে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের প্রাথমিক স্কুল পাড়ার হতদরিদ্র ভ্যান চালক ইয়াছিন আলীর মেয়ে। বিরল রোগে আক্রান্ত ছামিয়া খাতুন কুল্যা বেনাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী।

পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, প্রায় বছর খানিক আগে হঠাৎ ছামিয়ার শরীরে খোস চামড়া উঠতে দেখা যায়। তার পিতা হত দরিদ্র হওয়ায় বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসককে দেখাতে না পারলেও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে মেয়ের চিকিৎসা করতে থাকেন। চিকিৎসা চলাকালীন মেয়েটি পুরোপুরি সুস্থ না হলেও কয়েক সপ্তাহের জন্য সুস্থ থাকে সে। গত কয়েকদিন যাবত বিরল রোগে আক্রান্ত স্কুল ছাত্রী ছামিয়া মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার শরীরের পায়ের পাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণ খোস চামড়া উঠতে থাকে। অসহ্য চুলকানির ফলে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্ত ঝরে পড়তে দেখা যায়। চুলকানির যন্ত্রণায় অবুঝ শিশুটি সকাল—দুপুর—রাতে ছটফট করতে থাকে বলে জানান মা রিজিয়া খাতুন। হতদরিদ্র পিতা ইয়াসিন আলী জানান আমি একজন সামান্য ভ্যানচালক। মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আমার পরিবার। সড়কে ভ্যান চালিয়ে তার সামান্য উপার্জনে যেখানে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য কোথায় পাবো মোটা অংকের টাকা? তাই অর্থের অভাবে গ্রাম অঞ্চলের গ্রাম্য ডাক্তারই একমাত্র ভরসা তার। তবে উন্নত চিকিৎসা পেলে তার মেয়ে সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে স্কুলে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। 

 ডাক্তার দেখানো প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন- স্থানীয় উপজেলা ও জেলার সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি তারা কিছু মলম ও ঔষধ দেয় তা ব্যবহার করলে কদিন সেরে আবারও দেখা দেয়।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী ছামিয়ার স্কুল শিক্ষক নিতাই কর্মকার বলেন- ছামিয়া খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল, হঠাৎ করে তার শরীরের চামড়া উঠতে শুরু করে,সাথে রক্ত আসতে থাকে। গায়ে কোন পোশাক পরতে না পারার কারনে এখন সে আর স্কুলে আসতে পারে না। আমরা তার শিক্ষকরা চাই ছামিয়া উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে আবার স্কুলে ফিরে আসুক।

এ বিষয়ে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ওমর সাকী ফেরদৌস পলাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ কিছুই জানাননি। এধরণের বিরল রোগের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কোন বাজেট না থাকলেও মানববিক দিক বিবেচনা করে মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগীতা করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এমতাবস্থায় অসহায় পরিবারের শিশুটির জীবন বাঁচাতে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সমাজ সেবক ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আশার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Post a Comment

0 Comments