শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন।

‘সাহিত্য সাগর’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন গীতিকার, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সৈয়দা রাশিদা বারী

 


বিনোদন প্রতিবেদক:-

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ ‘বন্ধন কালচারাল ফোরাম এর উদ্যোগে, চ্যানেল আই এর মিডিয়া পার্টনারে, ঢাকার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটা বন্ধন কালচারাল ফোরামের  ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পালিত হলো। জমকালো এ আয়োজন অনুষ্ঠানে, গীতিকার, কবি ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দা রাশিদা বারীকে বন্ধন কালচারাল ফোরাম কর্তৃক ‘সাহিত্য সাগর’ উপাধীতে ভূষিত করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার নাজমুল হক (প্রথম সচিব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা) ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুকিত মজুমদার বাবু (চেয়ারম্যান- প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন), আবুল কাশেম মোঃ সালেহ্ (রেমিটেন্স যোদ্ধা, বন্ধন উপদেষ্টা), জনাব লোকমান হাকিম (বিশিষ্ট সুরকার ও সংগীত পরিচালক) সৈয়দা রাশিদা বারী (কবি, গীতিকার, সাংবাদিক, সংগঠক, সম্পাদক), জেবিন সুলতানা কান্তা (সেরা নারী উদ্যোক্তা ও বন্ধন উপদেষ্টা), শাহনূর (চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি) মোঃ মেজবার উদ্দীন (ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ) প্রমুখসহ আমন্ত্রিথ অতিথিবৃদ্দ উপস্থিত ছিলেন। 


এই উপাধী পেয়েছেন কবি, কথাসাহিত্যিক সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্যের সর্বাঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখায়। এটা তার সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক লেখালেখির পরিপ্রেক্ষিতে। আসলেও তার লেখালেখির ব্যাপকতা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। একজন মেয়ে মানুষের পক্ষে এটা বিরল দৃষ্টান্ত। এই বাংলাদেশে কি সামগ্রিক বিশ্বেও এমন কোন নারী লেখক নাই যে, এক জনমে জীবনের এতো স্বল্প সময় পরিসরে, সাহিত্য অবদানে বিস্তর জায়গায় তিনি ঠিক সাগরের গভীরতর জলধার মতোই পৌঁছেছেন। পুরুষ্কারটা উপাধি সম্পন্ন তার জন্যই ঠিক আছে বটে। এতো ব্যাপক অর্জন করেছেন তিনি, যা অহংকার করারই মতোন কিন্তু তাঁর কোন গর্ব অহংকার নাই। উল্লেখ্য যে এই গুনী মানুষটি এ যাবৎ ভারী ভারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ২শত এর উপর গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১শতটিরও উপরে, বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অন্তত ৮০টি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়, কাজ চলছে। যা তিনি এক সংঙ্গেই দিতে চান এবং কারণ বর্ণণায় অনেক ব্যাপার আছে বলে জানিয়েছেন। তিনি ৪হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তবে শুধু সৈয়দা রাশিদা বারীই নয়, এ যাবতকাল বেশী রচনাশীল কোন গীতিকারই জীবদ্দশায় তার নিজের রচিত সব গান প্রকাশ করেন নাই। যারা বিপুল লেখেন তাদের পক্ষে এটা সম্ভব না। লালন, নজরুল, প্রভৃতি গীতিকারের গান, পরবর্তী পুরুষ, ভক্ত উত্তরসূরী কর্তৃক প্রকাশ করেছে, এমনকি এখনও যা অব্যাহত আছে। 


সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপরে সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরস্কার, ক্রেস্ট, উত্তরীয়, মেডেল, মানপত্র, শুভেচ্চা শ্রদ্ধা ও প্রশংসাপত্র প্রভৃতি পেয়েছেন, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ৮০টি। তবে উপাধী পেয়েছেন ১৪টি। আলহামদুলিল্লাহ, এ জন্য অভিনন্দন তাকে। এটাও বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রের উন্নয়ন উন্নতির এক বৃহৎ- মহামূল্যবান সংযোজন। তার গর্ব যে তিনি চেয়ে এবং ধন্যা দিয়ে কখনোই কোন পুরষ্কার গ্রহণ করেন নাই। তার সৃজনশীল কর্মকান্ডের উপর নজর বিশ্লেষণে যে সংস্থা মূলায়ন করে সম্মাননা দিয়েছে, উপাধি দিয়েছে, সেটাই মাত্র গ্রহণ করেছেন কৃতজ্ঞ চিত্তে। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গীতিকার। জাতীয় সচিত্র মাসিক ‘স্বপ্নের দেশ’ (ঢাকা) এর প্রকাশক-সম্পাদক। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। আমাদের পত্রিকা ‘স্বপ্নকলি’র পক্ষ থেকে অভিনন্দনসহ সাহিত্যের উজ্বল ভবিষ্যত ও সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি। এছাড়াও উক্ত সেমিনারে অন্যান্য প্রতিভার আরো অনেকেই গুনীজন সম্মাননা পেয়েছেন। শিশু শিল্পী হিসেবে সৈয়দা মিফতাহুল জান্নাহ (সঞ্চিতা) গান গেয়ে পেয়েছে ক্রেস্ট, মেডেল ও মানপত্র। সেও দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। উক্ত অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন প্রতিষ্টানের মহাসচিব বাংলাদেশ বেতারের সিনিয়র ব্রডকাষ্টার শেখ নজরুল ইসলাম। উপস্থাপণায় ছিলেন তানিয়া আফরিন। 

Post a Comment

0 Comments