মেহেদী হাসান তুহিন , ডুমুরিয়া
বাংলার ইতিহাসের এক হৃদয়বিদারক অধ্যায়—চুকনগর গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ২০ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ, যাঁরা সেদিন ভারত অভিমুখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই গণহত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক দিনে সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যার অন্যতম নিদর্শন।
এই শোকাবহ দিনের স্মরণে আজ ২০ মে চুকনগর বধ্যভূমিতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. গাজী আব্দুল হক সাহেবের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হবি, আটলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু শাহামা শেখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সম আব্দুর রাজ্জাক, সাংবাদিক রুহুল আমিন মোড়ল, মফিদুল ইসলাম শেখ, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক মাহবুব ইসলাম, আব্দুল হাই শেখ, মৃণাল কান্তি দাস, সোহেল মাহবুব ও হুমায়ুন কবির।
ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেদী হাসান তুহিন, দিপু মল্লিক, সুদেব কুমার দাস, রিফাত শেখ, সাজিদ শেখ এবং গাজী ফয়সাল।
এছাড়াও ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা চুকনগর গণহত্যার ভয়াবহতা, শহীদদের আত্মত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, “চুকনগর শুধু একটি স্থান নয়—এটি বাঙালির সংগ্রাম, ত্যাগ ও বেদনার প্রতীক।”
গণহত্যার এ দিবসে সকল শহীদদের প্রতি রইল জাতির গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
0 Comments