২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারী কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নামেনি। এরপর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও আজ অব্দি কাজ শেষ নামেনি। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে নিচু একটি টিনের ঘরে, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পৌঁছে না। উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইনের যোগসাজশে ভবনে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, রড, বালি ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় লোকজন। কাজ শেষ হওয়ার আগেই চিলেকোঠার ছাদের একাধিক স্থানে লিংটন ও ছাদে ঢালাইয়ের রড বেরিয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ভোলানাথ মণ্ডল ও গোলক চন্দ্র জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানে অফিসের লোকজন ঠিকমতো তদারকি করতে আসেননি। এ জন্য ঠিকাদার ইচ্ছে মতো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করে গেছেন। কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস হোসেনকে ভবনে ব্যবহৃত অতি নিম্নমানের ইটের ব্যাপারে অভিযোগ করা হলে তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। ঠিকাদার ছাদ ঢালাইয়ে নিম্নমানের কাদামাটি যুক্ত বালি ও পাথর ব্যবহার করেছেন ভয়ভীতি দেখিয়ে আবার যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপের অজুহাতে। স্থানীয় ইটভাটা থেকে ১নং ইট না এনে ঠিকাদার ৩৫/৪০ কি.মি. দুরের ভিন্ন উপজেলা থেকে ৩/৪ নং ইট (রাফসান) ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইন বলেন, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলেও কোন ফল হয়নি। আমি স্কুলের কাজে ব্যস্ত থাকায় সবদিক খেয়াল করতে পারিনি। স্কুলের স্বার্থে কথা না বলে অজ্ঞাত কারণে এদিন তিনি বারবার ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
ঠিকাদার আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের শেষ সময়ে এসে এর থেকে ভালো ইট পাওয়া যায়নি।
0 Comments