শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন।

আশাশুনিতে স্কুলের ভবন নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার : স্থায়ীত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন

 


বিশেষ প্রতিনিধি:- 
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৩৫ নং খেজুর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে কাজ শেষ না করা,হস্তান্তরের আগেই রড বেরিয়ে যাওয়া, গুনগত মানহীন ইট,-বালিসহ নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়াসহ ভবনের স্থায়ীত্ব নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। 
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাদাকাটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল খেজুরডাঙ্গা গ্রামের খাল সংলগ্ন এলাকায় ৪০ শিক্ষার্থীদের জন্য ১ কোটি সাড়ে ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৪ সালের ১ মে থেকে কাজ শুরু করেছেন সালেহা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম। 

 


২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারী কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নামেনি। এরপর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও আজ অব্দি কাজ শেষ নামেনি। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে নিচু একটি টিনের ঘরে, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পৌঁছে না। উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইনের যোগসাজশে ভবনে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, রড, বালি ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় লোকজন। কাজ শেষ হওয়ার আগেই  চিলেকোঠার ছাদের একাধিক স্থানে লিংটন ও ছাদে ঢালাইয়ের রড বেরিয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ভোলানাথ মণ্ডল ও গোলক চন্দ্র জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানে অফিসের লোকজন ঠিকমতো তদারকি করতে আসেননি। এ জন্য ঠিকাদার ইচ্ছে মতো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করে গেছেন। কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস হোসেনকে ভবনে ব্যবহৃত অতি নিম্নমানের ইটের ব্যাপারে অভিযোগ করা হলে তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। ঠিকাদার ছাদ ঢালাইয়ে নিম্নমানের কাদামাটি যুক্ত বালি ও পাথর ব্যবহার করেছেন ভয়ভীতি দেখিয়ে আবার যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপের অজুহাতে। স্থানীয় ইটভাটা থেকে ১নং ইট না এনে ঠিকাদার ৩৫/৪০ কি.মি. দুরের ভিন্ন উপজেলা থেকে ৩/৪ নং ইট (রাফসান) ব্যবহার করেছেন। 
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইন বলেন, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলেও কোন ফল হয়নি। আমি স্কুলের কাজে ব্যস্ত থাকায় সবদিক খেয়াল করতে পারিনি। স্কুলের স্বার্থে কথা না বলে অজ্ঞাত কারণে এদিন তিনি বারবার ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
ঠিকাদার আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের শেষ সময়ে এসে এর থেকে ভালো ইট পাওয়া যায়নি। 

 


নিম্ন মানের দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্যদেব সরকার প্রশ্নের পাশ কাটিয়ে বলেন, ঢালাইয়ের সময় ছাদের উপর ভাইব্রেটর মেশিন ঠিক মতো কাজ করেনি তাই কিছুটা সমস্যা হয়েছে। ইট খুব ভালো না হলেও একেবারে খারাপ না। ঠিকাদারের অসৎ কাজে এভাবে কেন সহযোগিতা করলেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
উপজেলা প্রকৌশলীর কর্তব্যের অবহেলার ফলে কাজে অনিয়মকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও সচেতন মহল।##

ক্যাপশন : আশাশুনিতে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার নির্মান করা হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন।

প্রেরক: রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল 
01711-903849







Post a Comment

0 Comments