শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন।

আশুলিয়ায় বিদেশি অস্ত্রসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার-১

 


সাভার প্রতিনিধি, ঢাকা:-

সাভারের আশুলিয়া থানার গৌরীপুর পলমল গার্মেন্টস পার্শ্ববর্তী সদরপুর ন্যাচারাল নার্সারির সামনের পাকা রাস্তায় গত (০৯ অক্টোবর)  বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে একদল ডাকাত রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিলো। 

এ সময় আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই (নিরস্ত্র) মাহাবুব উল্লাহ সরকার ওই এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। ডাকাত দলের সদস্যরা গনডাকাতি করার একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ির সামনে চলে আসে। 

কিছু  বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ডাকাত দল পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করে গুলি ছুড়ে অন্ধকারে ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে  দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। এক পর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্য মির্জা রুবেল (৪৫) কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেন।

মির্জা রুবেলকে বাকী পুলিশ সদস্যদের ঝাপটিয়ে ধরলে তিনি নিজের অধীনে থাকা অস্ত্রটি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোমর থেকে ডান হাতে নিতে সক্ষম হলেও ব্যবহার করতে ব্যর্থ হন।

আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মাহাবুব উল্লাহ সরকার জানান, এই ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি। তবে ডাকাত দলের কেউ আহত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, ডাকাতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই দুঃসাহসিক অভিযানে পুলিশের সাহসিকতা ও দ্রুত পদক্ষেপের জন্য স্থানীয়রা পুলিশের প্রশংসা করেছেন। তারা আশা করছেন, পুলিশ দ্রুত ডাকাতদের ধরে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হান্নান বলেন,আন্তঃজেলা ডাকাতদের কাছে হট স্পট হলো আশুলিয়া থানা বেষ্টিত  হাইওয়েগুলো। হাইওয়েতে নিয়মিত টহল নিশ্চিত করায় এরা এখন সংযোগ সড়কগুলোকে টার্গেটেড স্পট হিসেবে বেছে নিয়েছে। পুলিশের নিজস্ব যানবাহন স্বল্পতা থাকলেও ভাড়া লেগুনা দিয়ে টহল কার্যক্রম চলছে। তবে আমাদের অফিসারেরা পূর্বের যেকোন সময়ের থেকে অনেক বেশি আন্তরিক, চৌকস,পরিশ্রমী ও পেশাদার। 

তিনি আরও বলেন,সাধারণত মাসের প্রথম দশ দিনের যেকোন দিন কারখানার স্টাফদের বেতন পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এসময় নগদ টাকা হেড অফিস অথবা ব্যাংক থেকে ফ্যাক্টারিতে আনা হতে পারে এমন ধারণা থেকে অপরাধীরা প্রথম দশদিনকে টার্গেট করে মাঠে নামে। আবার অনেক অপরাধী দল তথ্যের ভিত্তিতে সাবওয়েকে টার্গেট করে।পুলিশের হাতে আটক হওয়া আসামির বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি ডাকাতি মামলা ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। আসামি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য হলেও জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্থানীয় কয়েকজনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান,যারা এদেরকে বাসা ভাড়া ইত্যাদি সুবিধা দিয়ে থাকেন। যাচাই-বাছাই করে এদের স্থানীয় সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আসামির বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও একটি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার রুজু হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments