পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি : - খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ শিববাটী ব্রিজের টোল উন্মুক্তের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র জনতা ব্যানারে শত শত এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় শিববাটী ব্রিজের উপর এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। কয়রা পাইকগাছার মানুষের প্রানের দাবি টোল মুক্ত শিববাটী ব্রিজের।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জনগণের টাকায় নির্মিত এই ব্রিজ দিয়ে চলাচলে টোল আদায় অযৌক্তিক। আয়লা- সিডরসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কয়রা-পাইকগাছার মানুষদের ঢাকা খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতয়াতের একমাত্র পথ এটি।
কয়রা-পাইকগাছা দুরত্ব ৩৫ কিঃ মিঃ। এখানে যাতয়াত করতে গেলে পাড়ি দিতে হয় শিববাটী ব্রিজ ও চাঁদআলী ব্রিজ নামে দুটি ব্রিজ। প্রতিবার পার হতে গেলে দিতে হয় টোল। চার চাকার গাড়ি ছাড়াও ভ্যান, মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য গুনতে হয় টাকা।
২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আয়লায় কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় উদ্বোধনের আগেই খুলে দেয়া হয় ব্রিজ। ৩৪৭ মিটার দৈর্ঘের এ ব্রিজে পরবর্তী বছর ২০১০ সালে এব্রিজে টোলের আওতায় আনে সরকার। সেসময় টোলের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। কিন্তু সে আন্দোলন আলোর মুখ দেখেনি।
বিভিন্ন সময় টোল কর্মচারীদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ বহু মানুষ মারপিটসহ লাঞ্ছিত হয়। বিভিন্ন মানুষ শিববাটী ব্রিজের টোল উন্মুক্তোর জন্য আন্দোলন করে আসছে।
গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ছাত্র জনতা শিববাটী ব্রিজের টোল বন্ধ দেয়। পরবর্তীতে আবার চালু হয়। গত ৩০ জুন ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হয়। এর পর থেকে নতুন ইজারাদার নিয়োগের আগ পর্যন্ত খাস আদায় করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। একারনে আবারো ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টোল উন্মুক্তর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এস কে মহিববুল্লাহ, আব্দুল কাদের নয়ন, হাফিজ বিন আমিন তারেক, এ্যাডঃ রুহুল আমিন, জি,এম,মিসবাহ আহমাদ, তামিম রায়হান, আল- মামুন, তৈয়বুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিনারুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম রনি, আসলাম পারভেজ। মানববন্ধন শেষে ছাত্র জনতা টোল ঘর ভাংচুর করে।
0 Comments