আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
আশাশুনির শ্রীউলায় মোশাররফ হোসেন মজনুর ছেলে অকিদ হাসানের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। চাঁদার দাবিতে মারপিটের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তার বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় দুটি এজাহার দাখিল করেছেন পুইজালা গ্রামের নজরুল সানার ছেলে মোমিনুর রহমান ও মহিষকুড় মৎস্য সেডের মালিক আরিফুর রহমান।
মোমিনুর রহমান বলেন, শ্রীউলা গ্রামের ত্রাস হিসেবে পরিচিত মোশাররফ হোসেন মজনুর ভয়ে আমরা সবসময় আতঙ্কে আছি। এখন তার ছেলে অকিদ নিজে আরেকটা চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজি সহ ঘেরের মাছ লুটপাট করে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা দুরে থাক ভয়ে কেউ কথাও বলতে পারে না।
রবিবার (১ জুন) সকালে আমি ও আমার ভাই আলমগীর মহিষকুড় মৎস্য সেড থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরার পথে অকিদের নেতৃত্বে শ্রীউলা গ্রামের নাফিজ, তৈয়বুর সহ ৪/৫টি ছেলে পথ আটকে আমার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে গ্রামের লোকজন চলে এলে তারা আগামী ৩ দিনের মধ্যে চাঁদার ২ লক্ষ টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অপরদিকে, মহিষকুড় মৎস্য সেডের মালিক আরিফুর রহমান জানান, শ্রীউলার দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, ঘের দখলকারী বাবা মজনুর ছেলে অকিদ হাসান নিজস্ব বাহিনী নিয়ে মাঠে নেমে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে চলেছে। অকিদ প্রায়ই তার লোকজন নিয়ে মৎস্য সেডে এসে বলে মৎস্য সেড চালাতে গেলে তাকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। গত শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে সেড থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেইন সড়কে উঠলেই অকিদ সহ অজ্ঞাত নামা কয়েক জন আমাকে আটক করে দাবিকৃত ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। আমি দিতে না পারায় তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে আশপাশের ছুটে এলে অকিদ তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় আগামী ৭ দিনের মধ্যে ধার্যকৃত চাঁদার টাকা দিতে বলে যায়। তাদের হুমকি ধামকিতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অবিলম্বে বাহিনীর প্রধান অকিদকে গ্রেফতার করে চাঁদাবাজি নির্মূলের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এঘটনায় আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সামশুল আরেফিন জানান, এজাহার পেয়েছি, তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অকিদের বাবা মোশাররফ হোসেন মজনুর সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
0 Comments