মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা : - পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট চৌকি আদালতে এক মাস ধরে বিচারক শুন্যতায় বিচার প্রার্থীদের ভোগান্তি চরমে। বাড়ছে মামলা জট। অনেকটা বেকার সময় পার করছেন আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনজীবী এবং আইনজীবী সহকারীরা।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, খুলনা জেলার দূর্গম এলাকা হিসেবে ১৯৮৩ সালে পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও সিনিয়র সহকারী জজ চৌকি আদালত দুটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০০ সালে এখানে স্বতন্ত্র আইনজীবী সমিতির স্বীকৃতিও লাভ করে। গত ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর সিনিয়র সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আনোয়ারুল ইসলাম যোগদান করেন। সেখান থেকে ২৫ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। গত মাসের ২০ তারিখে মাগুরা জেলার লিগাল এইড এর ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে বদলি হয়ে যোগদান করেন। ফলে পাইগগাছা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদ শুন্য হয়। ১মাস অতিবাহিত হলেও কোন বিচারকের পদায়ন না হওয়ায় বাড়ছে মামলার জট। বেকার সময় পার করছেন আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনজীবী এবং আইনজীবী সহকারীরা।
পাইকগাছা সিনিয়র সহকারি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, এ চৌকি আদালতে বর্তমানে সি আর ১১৮৩টি, জি আর ৩০৬টি, নন জিআর-৫৫টিসহ মোট ১৫৪৪ বিচারিক মামলা রয়েছে। আমলি মামলা চলমান জি আর-৩৩৪টি, সি আর-২০০০টি, নন জি আর ৩৫৭ টিসহ মোট ২৬৯১টি মামলা আছে। বিচারক ও আমলি মিলে মোট ৪২৩৫ টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন কোন নাকোন এভিডেভিড থাকে। স্যার না থাকায় সেটাও বন্ধ রয়েছে।
পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড আব্দুর সাত্তার জানান, আদালত প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এতোদিন বিচারক শুন্য কখনো থাকেনি। মামলার জট বাড়ছে। অনলাইনে জামিন শুনানি করতে হচ্ছে। অনলাইনে সকল ধরনের যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করা সম্ভব হয়না। আদালত বন্ধ থাকায় এখানকার ৭০ জন আইনজীবী ও ৭৮ জন আইনজীবী সহকারী একপ্রকার বেকার সময় পার করছেন। বিচার প্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এভিডেভিডও বন্ধ থাকায় আদালত পাড়ায় একপ্রকার অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতোদিন এ আদালতে বিচারক শুন্য থাকলে পার্শ্ববর্তী কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জামিন শুনানিসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হতো কিন্তু সেখানকার আদালতেও একি দিন থেকে বিচারক শুন্য আছ। অচিরেই একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদায়নের দাবী জানান তিনি।
0 Comments