শিরোনাম

10/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন দিন।

আশাশুনিতে চাঁদা বাজের হাতে দলিল লেখক লাঞ্ছিত

 


আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:-

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে চাঁদার টাকার না পেয়ে দলিল লেখককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে আশাশুনি থানায় দলিল লেখক কৃষ্ণপদ মন্ডল বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকালে আশাশুনি গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নাজমুল হোসেন আশাশুনি কৃষি ব্যাংকের সামনের রাস্তায় দলিল লেখক কৃষ্ণপদের সেরেস্তায় গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। দলিল লেখক চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করে চলে যাওয়ার পথে তার পথ রোধ করে নাজমুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি দলিল লেখককে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়,একইদিন নাজমুল দলিল লেখক পরিমল কুমার সানার সেরেস্তায় গিয়ে চাঁদা দাবি করে। পরিমল কুমার সানা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ তার চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। ও একই ব্যক্তি দলিল লেখক সুশেন চন্দ্র মল্লিকের দলিল লেখার সেরেস্তায় গিয়ে একই রুপ আচরণ করে এবং চাঁদা না দিলে দলিল লেখার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসেন। এছাড়া স্থানীয় দলিল লেখকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান,শুধু নাজমুল একা নয় আশাশুনিতে একটা চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নাজমুলের মত আরও কয়েকজন নিয়মিত আশাশুনি বাজারে সাব রেজিস্ট্রার অফিস,দলিল লেখকদের ব্যক্তিগত দলিল লেখার সেরেস্তাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাই না। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দলিলের দাতা-গ্রহিতাসহ সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে জোর পুর্বক টাকা আদায় করা, টাকা না দিলে তাদেরকে লাঞ্ছিত করা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারনে অনেকেই ভয়ে এখন  আশাশুনি সদরে আসতে চাইনা বলেও জানান দলিল লেখক সহ বাজারের ব্যবসায়ীরা।

এবিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন,কৃষ্ণপদ নামের একজন দলিল লেখক সহ কয়েকজন দলিল লেখককে অকথ্য গালিগালাজ ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পেয়েছি। কৃষ্ণপদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া দলিল লেখক ও বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশকিছু নাম পেয়েছি যারা অতিসম্প্রতি চাঁদাবাজি করছে। দ্রুতই আমরা এই সকল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এসময় থানার কোন প্রান্তে কেউ চাঁদা চাইলে গোপনে বা সরাসরি তাকে জানিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি বলেন, আমি যতদিন আশাশুনি থানায় থাকবো ততদিন কোন চাঁদাবাজ আমার থানায় থাকতে পারবে না। 

Post a Comment

0 Comments